বিশেষ প্রতিনিধি ঃ ঝালকাঠির রাজাপুরে এক নারীর পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগে পুলিশের এসআই মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী ঐ নারী সুমা বেগম বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি বরাবর লিখিত এ অভিযোগ দাখিল করেন। মঙ্গলবার রাতেই ভুক্তভোগী রাজাপুর প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের কপি সংবাদিকদের হাতে দিয়ে এ তথ্য জানায়। সুমা বেগম উপজেলার চাড়াখালি গ্রামের কবির হোসেন হাওলাদারের স্ত্রী। এসআই শাহ আলম বর্তমানে রাজাপুর থানায় কর্তরত রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, সুমা বেগমের স্বামী কবির হোসেনের সাথে স্থানীয় একটি কুচক্রী মহলের সাথে জমি-জমার বিরোধ চলে আসছিল। ঐ কুচক্রী মহলের ইন্দোনে এসআই শাহ আলম চাড়াখালীর স্থানীয় অপরিচিত সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে গত শনিবার দুপুরে সুমার বাড়িতে যায়। শাহ আলম বাহিরে দাড়িয়ে থেকে অন্যদের জোড়পূর্বক ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশী চালাতে বলেন। এ সময় ঘরে মহিলারা ছাড়া কোন পুরুষ লোক ছিল না। তল্লাশীর সময় ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল তছনছ করে শাশুড়ীর একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। মহিলারা বাধা দিতে চাইলে এসআই শাহ আলম সুমাসহ সকলকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে মিথ্যা মামলায় চালান করে দেয়ার হুমকি দেয়। কি কারনে তাদের ঘর তল্লাশী করা হচ্ছে শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সবাইকে চোরের বাচ্চা চোর বলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করে, যা তিনি লোক সমাজে লজ্জা পান এবং তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়। তল্লাশী শেষে ফিরে যাবার সময় শাহ আলম ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল ফেরত দিয়ে সুমাকে জানায় তোর স্বামীকে সন্ধ্যার মধ্যে আমার কাছে হাজির করবি নইলে বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে মাটির সাথে মিশিয়ে দিব। পুলিশ কর্মকর্তার এমন কর্মকান্ডে বর্তমানে সুমাসহ তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে। এস.আই শাহ আলম যেকোন সময় মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের হয়রানী করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন সুমা। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পুলিশের এসআই মো. শাহ আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, বাবুল দাঁড়িয়া নামে এক লোক সুমার স্বামী কবিরের বিরুদ্ধে একটি গরু চুরির অভিযোগ দেয়। ঐ অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়েছি এবং তার সত্যতা পাই।
Leave a Reply